নামঃ শহীদ হাফেজ গোলাম কিবরিয়া শিপন
“আমার মরণে মা কেঁদো না তুমি
আল কুরআন বলে আমি মরিনি
তোমার আমার দেখা হবে মা
জান্নাতের সিঁড়িতে…”
পিতা : মো: তাজুল ইসলাম
পিতার পেশা : সরকারি চাকরি
মাতা : মোছা: মাহফুজা বেগম
মাতার পেশা : গৃহিণী
বয়স : ২১ বছর
স্থায়ী ঠিকানা : ১১৯/১/খ, পূর্ব বাসাবো,
ঢাকা-১২১৪
ভাইবোন : তিন ভাই ও এক বোন
শিক্ষাজীবন : শাহাদাতের সময় তিনি ঢাকা কলেজের পদার্থবিদ্যা বিভাগের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। সাংগঠনিক জীবন : সংগঠনের সাথী ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ড বায়তুলমাল সম্পাদক ছিলেন।
শাহাদাতের তারিখ ও স্থান : ২৮ অক্টোবর ২০০৬ বায়তুল মোকাররমের উত্তর সড়কে ১৪ দলের হামলায় আহত হয়ে ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতালে শহীদ হন।
শহীদ : ১২৭তম
শহীদ গোলাম কিবরিয়া শিপন সদালাপি বিনয়ী ছাত্র হিসেবে এলাকায় সমধিক পরিচিত ছিলেন। শিপন ছিলেন কুরআনে হাফেজ, দাখিল পরীক্ষায় মেধা তালিকায় স্থান করে নিয়েছিলেন, পাশাপাশি ওঊখঞঝ পরীক্ষা দিয়ে ৫.৫ স্কোর করেছিলেন উচ্চ শিক্ষার জন্য বিদেশে যেতে। কিন্তু লগি বৈঠাধারী হায়েনারা তার সেই স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার করে দেয়। সে স্বপ্ন আর কোনদিনই পূরণ হবে না।
শহীদ হাফেজ গোলাম কিবরিয়া শিপন ৩ ভাই ১ বোনের মধ্যে দ্বিতীয়। বড় ভাই ডাক্তার। ছোট ভাই কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার। তার একমাত্র বোন তাকিয়া। শিপন ঢাকা কলেজে বিএসসি ফিজিওতে অনার্স ১ম বর্ষে অধ্যয়নরত ছিলেন। উচ্চশিক্ষার্থে বিদেশে যাওয়ার জন্য সে ওঊখঞঝ-ও সম্পন্ন করেছিলেন। তার স্কোর হয়েছিল ৫ দশমিক ৫। তার পিতা তাজুল ইসলাম চাকরিজীবী। মা মাহফুজা খাতুন গৃহিণী। তার মা জানান, শিপন ২৭ অক্টোবর রাতে বাইরে যেতে চাইলেও তাকে যেতে দেয়া হয়নি। তাই পরদিন সকালে শহীদ সাইফুল্লাহ মোহাম্মদ মাসুম (যিনি একই ঘটনায় শাহাদাতবরণ করেন) এসে ডাক দিলে সে আর বিলম্ব না করে বলে, আম্মা আমাকে রাতে যেতে দেন নাই কিন্তু আজ আর আমাকে নিষেধ করতে পারবেন না। এরপর সে হালকা একটু সেমাই খেয়ে ঘর হতে বের হয়ে যান। চলে আসেন পল্টন এলাকায়।
শহীদ গোলাম কিবরিয়া শিপন ১৯৮০ সালের ১৪ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকার পূর্ব বাসাবোতে তাদের বাসা। গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের মতলব উপজেলার মাথাভাঙ্গা গ্রামে। তিনি ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাথী এবং সবুজবাগ থানার ২৭ নং ওয়ার্ডের বায়তুলমাল সম্পাদক ছিলেন।