২৮ অক্টোবর কী বেদনার রংয়ে আঁকা ইতিহাসের পাশবিকতম হত্যাযজ্ঞের কোন নীল দর্পন!
জুলুমের সামনে জীবন দিয়ে বিজয়ের মশাল উচ্চ করে ধরার আবহমান ইতিহাসের পুণরাবৃত্তি।
নাকি সন্তোষ, বেদনা, ব্যর্থতা, অক্ষমতা সব কিছুর সমন্বয়ে এক বহুমাত্রিক জীবন অধ্যায়!
মূলত: একেক জনের কাছে ২৮ অক্টোবর এর স্মৃতির রেখাপাত একেক ধরনের।
কিন্তু, অনাগত কালের বিপ্লবী কর্মীদের জন্য কী হবে ২৮ অক্টোবরের শিক্ষা ?
ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব কোন চেতনায় দৃষ্টি রাখবে এ ঐতিহাসিক দিনটির দিকে ?
অজস্র মানুষের আবেগ-অনুভূতি ছুঁেয়, সে দিনটির স্মৃতিলিপির সাথে একাত্ম হয়ে যারা বেশ আত্মপ্রসাদ লাভ কারেন তাদের মধ্যে আম্ওি একজন। ফলে স্মৃতি রোমন্থন করে আবেগাপ্লুত বাক্য নির্মাণ কম হয়নি। ভাবছিলাম অন্য কোন দৃষ্টি দিয়ে ২৮ অক্টোবর কে দেখা যায় কিনা!
২৮ অক্টোবর নিয়ে একজন শুভার্থী সংবাদ কর্মীর সাথে আলাপ হয়েছিল বেশ কিছুদিন আগে। তিনি কিছু বিশ্লেষণ তুলে ধরে বলেছিলেন, ২৮ অক্টোবর নিয়ে আত্মপর্যালোচনামূলক কিছু হয়েছে কী ?
প্রশ্ন করলাম কেমন?
-২৮ অক্টোবর আমাদের অবস্থা ও অবস্থান কি ছিল? সার্বিক পরিস্থিতি আমরা যথার্থভাবে মোকাবিলা করতে পেরেছি কি না? আমাদের সাফল্য-ব্যর্থতার দিক গুলো কি কি? ইত্যাদি।
– এগুলো তো আভ্যন্তরীণ আলোচনা বা বিশ্লেষণের বিষয়। দায়িত্বশীলগণ তা যথাসময়ে নির্দিষ্ট ফোরামে যথার্থভাবে করেছেন।
আমার জবাব শুনে তিনি মৃদু হাসলেন, কিছুটা আক্ষেপের সূরে বললেন,
-আমি আরও কয়েকজনের কাছে শুনেছি, সেদিনের বিষয় নিয়ে ব্যাপক পর্যালোচনা হয়েছে। কিšত্তু কি আলোচনা হয়েছে তা কেউ বলতে পারলেন না।
-যারা সংশ্লিষ্ট এবং যাদের জানা প্রয়োজন তাঁরা পর্যালোচনার বিষয়গুলা নিশ্চয়ই জানেন। আর এ জাতীয় বিষয় সবখানে প্রকাশ করতে হবে সেটাওতো জরুরী নয়।
তিনি আমার কথায় কিছুটা আহত হলেন বলে মনে হল। একটি দীর্ঘশ্বাস ফেলে রূঢ় স্বরে বললেন: বদর,ওহুদ সহ রাসূল (স:)-এর আন্দোলন সময়কার নানা বীরত্বপূর্ণ ঘটনা বা বিভিন্ন পরিস্থিতি ও ত্র“টি-বিচ্যুতির বিষয় কি আমাদের জানা প্রয়োজন ! সেগুলো আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল (স:) এর পক্ষ থেকে আমাদের কাছে প্রকাশ করা কি জরুরী ছিল?
আমি তাঁর দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে মৃদু হেসে বললাম, জ্বি ছিল।
-তাহলে আমরা যারা এ আন্দোলনের কর্মী বা সুহৃদ তাদের সবারই ২৮ অক্টোবরের বিষয়গুলো জানা প্রয়োজন। পবিত্র ক্বোরআন ও হাদিসে বদর, ওহুদ, হুদাইবিয়া ও মক্কা বিজয় থেকে শুরু করে ইসলামের ইতিহাসের বড় প্রত্যেকটি ঘটনার পর্যালোচনা বিশদভাবে করা হয়েছে।
২৮ অক্টোবর’২০০৮ বাংলাদেশের ইতিহাসে অত্যন্ত গুরত্ববহ ও তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। আপনারাতো বক্তব্য প্রদানকালে সেদিনকার পরিস্থিতি কে ওহুদের সাথে তুলনা করে থাকেন।
তাঁর কথা শুনে আমি হেসে বললাম, বদর ওহুদ সহ রাসূল (স:) এর সংগ্রামমুখর সীরাত গোটা মুসলিম উম্মাহ’র জন্য আবেগের মাইলফলক। আমরা আবেগ প্রবণ হয়ে আমাদের জীবনের সাথে সেগুলোকে মিলিয়ে আল্লাহর সšত্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করি। আবেগের সব কথা বা বক্তব্য কে অত সিরিয়াস ভাবে দেখার প্রযোজন নেই।
-তাহলে ২৮ অক্টোবর আপনার দৃষ্টিতে খুব সাধারণ একটি ঘটনা! তাঁর কথায় কিছুটা উত্তেজনা প্রকাশ পেল।
-না না আমি তা বলছিনা। বাংলাদেশের ইসলামী আন্দোলনের জন্য ২৮ অক্টোবর নি:সন্দেহে এক ঐতিহাসিক অধ্যায়।
-যদি তাই হয়, তাহলে সেদিনকার পুরো বিষয়টির বিশ্লেষণ প্রত্যেকটি কর্মীর মনে এমনভাবে থাকা উচিত যাতে সাংগঠনিক জীবনের ছোট খাট সংঘাত মোকাবিলার ক্ষেত্রেও তারা এ শিক্ষা কে কাজে লাগাতে পারে। ঘটে যাওয়া বিষয় নিয়ে পরস্পরের সমলোচনা বা নিজেদের সাহসী ভূমিকার জন্য আত্মপ্রসাদের উদ্দেশ্যে নয় বরং ভবিষ্যতের জন্য তা হতে পারে পথনির্দেশ।
তাঁর কথাগুলো নতুন বা ভিন্নধারার কিছু না হলেও আমাকে অন্যরকম করে নতুনভাবে স্পর্শ করলো। আন্দোলন কে প্রাণ দিয়ে ভালোবাসা বহু নিবেদিতপ্রাণ ভাইয়ের তীর্যক কথাকে সমলোচনা ভেবে এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয়। সাংগঠনিক জীবনে এটা আমার অর্জিত শিক্ষা।
২৮ অক্টোবরের ব্যপারে আত্মসমলোচনার দৃষ্টিতে নিজেকে আজ আবারো একবার কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে ইচ্ছে হলো ভীষণভাবে। আমি ইসলামী আন্দোলনের তেমন গুরুত্বপূর্ণ কেউ নই। একজন মধ্যম সারির কর্মী মাত্র।
তথাপি ২৮ অক্টোবর নিজ ভূমিকা নিয়ে শুরু হল আমার ভেতরকার এক প্রচন্ড অন্তর্দাহ! অস্থির এক মর্মবেদনা কল্পলোকে আমাকে তাড়িয়ে নিয়ে গেল অ-নে-ক, অ-নে-ক দূর। আমি পৌঁছে গেলাম দেড় হাজার বছরের পুরোনো ওহুদ প্রান্তরে…..
সময়টি-৩য় হিজরীর ৫ই শাওয়াল।
কুরাইশ সরদার আবু সুফিয়ানের নেতৃত্বে তিন হাজার সৈন্যের বিরাট বাহিনী মুসলমানদের নিশ্চিহ্ণ করার অভিলাষে মদিনা অভিমুখে যাত্রা শুরু করে। মক্কায় অবস্থানকারী চাচা হজরত আব্বাস (রা:) প্রেরিত গোপন দূত মারফত রাসূল (স:) পূর্বেই এই সম্ভাব্য আক্রমণ সম্পর্কে সংবাদ পান। সংবাদ প্রাপ্তির সাথে সাথে রাসুল (স:) একাধিক গুপ্তচর প্রেরণ করে কুরাইশদের আগমন নিশ্চিত হন এবং প্র¯ত্তুতি সম্পর্কে বিশদ ধারণা লাভ করেন। ১১ই শাওয়াল শুক্রবার সকালে রাসুল (স:) সাহাবী গণের সাথে সম্ভাব্য আক্রমণ মোকাবিলা প্রসঙ্গে মতামত ও পরামর্শ গ্রহণ করেন। মদিনার অভ্যন্তরে অবস্থান নিয়ে নাকি সামনে অগ্রসর হয়ে শত্র“র মোকাবিলা করা হবে এ নিয়ে দু’ধরণের মত পাওয়া যায়। রাসূল (স:) মদিনা থেকে সামনে অগ্রসর হয়ে যুদ্ধ মোকাবিলার জন্য মনস্থির করেন এবং তদনুযায়ী ১১ই শাওয়াল আসরের নামাজের পর ১০০০ মুজাহিদ নিয়ে ওহুদের দিকে যাত্রা করেন। ওহুদের নিকটবর্তী হলে মুনাফিক সর্দার আব্দুল্লাহ ইবনে উবাইয়ের নেতৃত্বে ৩০০ জন রণেভঙ্গ দিয়ে মদিনায় ফেরৎ যান। অবশিষ্ট মাত্র ৭০০ জানবাজ মুজাহিদ নিয়ে রাসুল (স:) পরদিন অর্থাৎ ১২ই শাওয়াল ফজরের নামাজের পর কাফেরদের প্রতিহত করার ঘোষনা দেন।
যুদ্ধ শুরুর প্রারম্ভে তিনি হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে জুবায়েরের (রা:) নেতৃত্বে ৫০ জন তীরন্দাজকে মুসলমানদের ঘাটির পেছনের গিরিমুখে সার্বক্ষণিক সতর্ক পাহারায় নিযুক্ত করেন। বাকী ৬৫০ জন নিয়ে মহান আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ত্বের গগনবিদারী তাকবীর ধ্বনি তুলে কাফেরদের সর্বাত্মক আক্রমণ মোকাবিলা করেন রাসুল (স:)। অতি অল্প সময়ের মধ্যে মুসলিম বাহিনীর তীব্র প্রতিরোধের মুখে কুরাইশ বাহিনী পিছু হটে পলায়ন করতে থাকে। মুসলমান যোদ্ধাগণ কাফেরদের পশ্চাদ্ধাবন করে এগিয়ে যায়। যুদ্ধে বিজয় নিশ্চিত, আর পাহারার প্রয়োজন নেই একথা ভেবে পেছনের ঘাটিমুখে নিযুক্ত ৫০ তীরন্দাজ তাদের নেতা আব্দুল্লাহ ইবনে জুবায়েরের নিষেধ অমান্য করে শত্র“ তাড়ানোর কাজে নেমে পড়েন। আর এই সুযোগে তৎকালীন শত্র“পক্ষীয় বীর খালেদ বিন ওয়ালিদ তার ঝটিকা বাহিনী নিয়ে পেছন থেকে আক্রমণ করে মুসলিম বাহিনীকে পর্যুদস্ত করেন। ওহুদে রাসুল (স:) মারাত্মক ভাবে আহত হন। তাঁর শাহাদাতের গুজব ছড়িয়ে পড়ে। প্রাণাধিক প্রিয় চাচা বীর আমির হামজা সহ সর্বসাকুল্যে ৭০ জন বিখ্যাত নিষ্ঠাবান সাহাবীর শাহাদাত ও অপরিসীম রক্তদানের প্রোজ্বল ইতিহাস সীরাতে রাসুলের (স:) এক নিদারুণ মর্মবেদনা হয়ে রইল সারাজীবনের জন্য।
ওহুদ থেকে দৃষ্টি ফিরিয়ে ২৮ অক্টোবর-এ আসা যাক।
খুব স্বভাবিক ভাবে প্রশ্ন জাগে, ২৮ অক্টোবর ঘিরে পল্টনে আওয়ামী লীগের রণসাজ সম্পর্কে আমরা কি যথাযথ তথ্য পাইনি ? লগি বৈঠা নিয়ে তাদের দলীয় কর্মীদের পল্টনে সমবেত হওয়ার নির্দেশ তো গোপন কিছু ছিলনা। গণমাধ্যমে ব্যাপক ভাবে তা ফলাও করে প্রচারও হয়েছে। সকাল থেকে বিভিন্ন থানা ও অঞ্চল থেকে তাদের প্র¯ত্তুতির নানা তথ্য এবং একটি অশুভ পরিস্থিতির ইংগিত পাওয়া যাচ্ছিল। তার মোকাবিলায় আমি বা আমরা কি কার্যকর সঠিক পন্থা গ্রহণ করেছিলাম?
মনে পড়ে, সে ঐতিহাসিক দিনে শাখাগুলোর প্রতি আমাদের নির্দেশনা ছিল থানা ও ওয়ার্ড থেকে বাস যোগে অথবা পদব্রজে মিছিল করে বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে আসার জন্য। স্বাভাবিক সময়ে রাজনৈতিক সমাবেশে আসার জন্য যে রকম নির্দেশিকা থাকে অনেকটা সেরকমই। থানাগুলো থেকে কর্মীরা যখন সমাবেশে আসার প্র¯ত্তুতি নিচ্ছিল ততক্ষণে আমাদের সমাবেশ স্থলে শুরু হয়ে যায় সশস্ত্র হামলা। নিজেদেরকে সংগঠিত করার সুযোগ পাওয়াতো দুরের কথা হামলার খবর পেয়ে কোন প্র¯ত্তুতি ছাড়াই আমাদের ভাইয়েরা যে যেভাবে পেরেছে প্রথমেই তাদের আক্রমণ প্রতিহত করতে ছুটে গিয়েছে। সামান্য কঞ্চি বা পাথরেরও কোন সংগ্রহ ছিলনা, আক্রমণকারীদের নিক্ষিপ্ত ইট পাথর কুড়িয়ে তা দিয়েই সেদিন প্রতিরোধ করতে হয়েছে। কোন পাশে কে থাকবে, কোন দিকে অবস্থান নিয়ে সন্ত্রাসীদের কৌশলগত ভাবে প্রতিরোধ করা যাবে কোন কিছুই চিন্তা করার সুযোগ ছিলনা। অফিস ও মঞ্চের কাছ থেকে সেদিন যিনিই পল্টন মোড়ের দিকে জীবন-বাজী রেখে এগিয়ে গেছেন কিছুক্ষণ পর দেখা গেল তিনিই রক্তাক্ত, ক্ষত-বিক্ষত হয়ে ফিরে আসছেন। খবর পেয়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে যে সকল কর্মী ভাইয়েরা মহানগর অফিসে আসতে চেয়েছিলেন তারাও অনেকে নির্দয় ভাবে পথিমধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন। ওহুদে রাসূল (স:) গিরিপথ পাহারায় বিশেষ তীরন্দাজ বাহিনী নিযুক্ত করেছিলেন, সে বাহিনী যদি শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত দায়িত্ব পালনে অটল থাকতো তাহলে ওহুদের ইতিহাস হতো ভিন্ন। কিšত্তু সেদিন নোয়াখালী হোটেলের সম্মুখস্থ সড়ক, হোটেল ক¯ত্তুরি সংলগ্ন সংযোগ পথ, দৈনিক বাংলার মোড় সবগুলো প্রবেশপথই ছিল লগি বৈঠাধারীদের নিয়ন্ত্রণে। গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা বা প্রবেশ পথ গুলোতে তেমন কোন অবস্থান বা পদক্ষেপের কথা আমরা ভাবিইনি। সবচাইতে মর্মযাতনার বিষয় হলো, আহত-রক্তাক্ত ভাইদের কাতর আহাজারী সত্ত্বেও সন্ধ্যার পূর্ব পর্যন্ত কাউকে আমরা হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারিনি।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেদিনকার প্র¯ত্তুতিগত দূর্বলতার কথা ভাবতে গিয়ে আজ সত্যিই নিজকে ক্ষমাহীন অপরাধী মনে হয়।
সংখ্যায় অল্প হলেও সেদিন বাতিলের অমানবিক হিংস্রতার সামনে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন পল্টনে অবস্থানকারী আমাদের প্রিয় ভাইয়েরা। ক্ষত বিক্ষত কারো বুক-কারো মাথা, ছোপ ছোপ রক্তের ধারায় রঙ্গীন সবার শরীর। এ যেন জান্নাতের সুঘ্রান পাওয়া একদল সংশপ্তক সৈনিকের জীবন উৎসর্গের প্রাণপণ লড়াই। রক্তাক্ত গাজী ও জিন্দাদিল শহীদ ভাইদের সেদিনকার অপরিসীম ত্যাগের মহিমা ঢেকে দিয়েছে আমাদের সকল ব্যর্থতা। আমাদের পাহাড়সম সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও বাতিলের উম্মত্ত লেলিহান থাবা আছড়ে পড়ে চুর্ণবিচুর্ণ হয়েছে আমাদের মজলুম ভাইদের সাহসের কাছে। আজো প্রিয় ভাই মাসুম,শিপন ও জসিম উদ্দিনের উপর সে নির্মমতার দৃশ্য দেখলে মনে হয় সে আঘাতগুলো খান খান করে দিচ্ছে আমার অন্তরাত্মা। আমাদের প্রিয় ভাইদের জন্য আমরা কিছুই করতে পারলাম না। মানবরুপী হিংস্র হায়েনাদের হাতে নিজকে বিসর্জন দিয়ে তারা আমাদের শির কে উচ্চ করে গেল চিরকালের জন্য। তাই শত সহস্র ব্যর্থতার গ্লানি সত্ত্বেও ২৮ অক্টোবরের অনির্বাণ ইতিহাস আমাদের বিজয়ের শাণিত মিনার হয়ে থাকবে চিরকাল।
কিন্তু আমাদের ব্যর্থতা, অসতর্কতা, সরল-সহজ ভাবে এতবড় ঘটনার মোকাবিলা করতে যাওয়ার যে অপরিনামদর্শী সিদ্ধান্ত তার কী কোন উপলব্ধি আমাদের তাড়িয়ে নেবেনা ! ইতিহাসের নির্মোহ বিশ্লেষণে আমরা কী জবাব দেব আগামীর অনুসন্ধিৎসু মনা প্রজন্ম কে ! হয়তো কেউ সেভাবে আমাদের সামনে এসে দাড়াবে না প্রশ্নের তীব্রতা নিয়ে। ক্ষমার বিশালতায় পার পেয়ে যাব মানব চক্ষুর কাছে। মহান আল্লাহ তায়ালা যেন এ শিক্ষা থেকে আমাদের শুধরে দেন চিরতরে । আজ একান্তভাবে এটাই কায়মনোবাক্যে প্রার্থনা।
লেখক : মজিবুর রহমান মন্জু
সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির